Shovon Study

Education News Website

৪ টি কৌশল এসএসসি পরীক্ষায় A+ এনে দিবে

মাধ্যমিক পর্যায়ে এসএসসি পরীক্ষা যদি শিক্ষার্থীরা ভালো ফলাফল করতে চায় তাহলে তাদেরকে কৌশলী হতে হবে। ভালো শিক্ষার্থীর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তিনি কৌশলে।

কারণ সঠিক নিয়মে যদি পড়াশোনা করা যায় তাহলে একমাত্র ফলাফল করা সম্ভব। বাংলা একটি বাক্য রয়েছে, যেখানে বলা হয়

– গাধার মতো খাটলেও কাজ হবে না, যদি তুমি সঠিক নিয়ম না জানো পড়াশোনার ক্ষেত্রে। তাই এ বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ,

যদি সঠিক কৌশল এবং সঠিক নিয়ম না জানা থাকে তাহলে সারাদিন 24 ঘন্টা পড়েও কেউ ভালো ফলাফল করতে পারেনা।

এসএসসি পাবলিক পরীক্ষা হয়ে থেকে, যেখানে নিজ স্কুলে পরীক্ষা হয় না অন্য স্কুলে গিয়ে পরীক্ষা দিতে হয় এবং অন্য শিক্ষকরা

সেখানে পরীক্ষায় দায়িত থাকে এবং পরীক্ষার প্রশ্ন সরাসরি বোর্ড থেকে পাঠায়। উন্নত মানের প্রশ্নে এসএসসি পরীক্ষায়

আয়োজন করা হয়ে থাকে, যার কারণে অনেক শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় ভালো প্রস্তুতি নেওয়ার পরও ভালো ফলাফল করতে পারেনা।

ভয়-ভীতি দূর করা – এসএসসি

শুধুমাত্র তিন ঘন্টা পরীক্ষা তোমার ভাগ্য নির্ধারণ করবে, তুমি সারা বছর যতই পড়াশোনা করেছ না কেন, তোমাকে তার প্রমাণ করার জন্য মাত্র তিন ঘন্টা সময় পাবা।

তাই এই তিন ঘন্টায় কোন ধরনের ভয় পাওয়া যাবেনা। আত্মবিশ্বাসের সাথে সুন্দর করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে, এবং সুন্দর মত পরীক্ষা দিতে হবে।

তবে এখানে শিক্ষার্থীরা বড় যে ভুল করে তা হল, তারা প্রতিটি পরীক্ষার ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক কথা বলে বন্ধুবান্ধবের সাথে আড্ডা দিয়ে পরীক্ষা দিতে যায়।

এই জিনিসগুলো বাদ দিতে হবে, সুন্দর মত স্বাভাবিকভাবে পরীক্ষা দিতে যেতে হবে। যাতে করে বেশি কথা না বলা যায় বেশি পেশার দেওয়া যাবে না মস্তিষ্কে,

পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে যত আড্ডা যত ইচ্ছা কথা বলা যেতে পারে। কিন্তু পরীক্ষার আগে চেষ্টা করতে হবে চুপচাপ থাকার।

পড়াশোনার ক্ষেত্রে কৌশল

পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদেরকে কৌশলী হতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা নোট খাতা ব্যবহার করতে পারে। তাদের পড়াশোনার

শর্টকাট পদ্ধতি হিসেবে দৈনিক রুটিন ব্যবহার করতে পারে, দৈনিক পড়াশুনার একটি দিক নির্দেশনা পাওয়ার জন্য।

তাছাড়া দীর্ঘ পরিকল্পনা করতে পারে, কোন সাবজেক্ট কতদিন পড়বে সে বিষয়ে তারা এটা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারে।

সবকিছু মিলিয়ে পড়াশোনার দিক থেকে ভালোভাবে এগিয়ে যেতে হবে। দশ টাকার একটি চিপসের দাম সর্বোচ্চ দুই টাকা তিন টাকা কিন্তু তার

মার্কেটিং হিসাবে তাকে দশ টাকা বিক্রি করা হয় এবং মানুষ প্রচুর কিনে থাকে। পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিষয়টি ঠিক এমনই, তুমি যতই পড়াশোনা করো না কেন পরীক্ষার সময়

সুন্দরভাবে তা উপস্থাপন করাটা গুরুত্বপূর্ণ। তাই পরীক্ষা সময় তুমি কিভাবে উপস্থাপন করবে সেই চিন্তা ভাবনা করে পড়াশোনা শুরু করতে হবে এবং পড়তে হবে।

ঘুম – স্বাস্থ্য ঠিক নজর দেওয়া

শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করার জন্য নিজের ঘুম স্বাস্থ্য বিসর্জন দেয়, কিন্তু এটা শিক্ষার্থীর নিজের গলার কাটা হয়ে দাঁড়ায়।

যদি শিক্ষার্থী অর্থাৎ তুমি সুস্থ না থাকে তাহলে তুমি কিভাবে পরীক্ষা দিবা ? তাই পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে। একজন শিক্ষার্থীর

অন্ততপক্ষে দিনে 8 ঘন্টা ঘুমাতে হবে, তাই তুমি ২৪ ঘন্টার মধ্যে আট ঘন্টা ঘুমাবা বাকি ১৬ ঘন্টা তুমি তোমার মত করে ব্যবহার কর।

তবে ঘুম থেকে কোনভাবেই নিজেকে বিরত রাখবা না, প্রতিনিয়ত প্রতিদিন তোমার সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুমাতে হবে।

খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারে যতটুকু সচেতন থাকতে হবে, যে খাবার তোমার শরীরের জন্য ক্ষতিকর সে খাবার থেকে দূরে থাকতে হবে।

কারণ পরীক্ষার প্রতিটা সময় তোমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ, তুমি যদি একবার অসুস্থ হও তাহলে তোমার দৈনিক রুটিন অথবা দীর্ঘমেয়াদী রুটিনে বড় প্রভাব পড়বে।

যার কারণে তোমার পরীক্ষার প্রস্তুতি অনেক খারাপ হবে ,এই জায়গায় চেষ্টা করতে হবে নিজেকে সবসময় সুস্থ রাখা।

সময় নষ্ট না করা –

শিক্ষার্থীরা অনেক কাজ তাদের করতে হবে, কিন্তু সেখানে মাথায় রাখতে হবে কোন বিষয়গুলো তাকে সময় নষ্ট করায় আবার কোন বিষয়গুলো থাকে কাজে দেয়।

অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়ে আসার পরে পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর খোঁজে, এটা কিন্তু সম্পূর্ণ সময় নষ্ট। কারণ শিক্ষার্থী সামনের

পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করা উচিত। কোনভাবেই পরীক্ষায় প্রশ্ন কতগুলো কমন পড়েছে কতগুলো সঠিক উত্তর হয়েছে বিষয়গুলো খোঁজা উচিত না।

এমনকি পরীক্ষার পড়ার সময় শিক্ষার্থীকে অধ্যায় নির্বাচন করার ক্ষেত্রে সময়ের দিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত, কোন গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় অথবা যে অর্ধ থেকে প্রশ্ন সম্ভাবনা তুলনামূলক

কম সে অধ্যায়গুলো পড়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং যত শর্টকাট টেকনিক আছে সেগুলো ব্যবহার করে পড়া কমপ্লিট করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *